top of page
sreyasirrannaghor

" কাঁকড়ার ডিম চাই, চাই যে গরম চা।চিনেবাজারের থেকে এনো তো করমচা, নাহয় খরচা হবে,মাথা হবে হেঁট কি?"

আপাতদৃষ্টিতে পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চির হলেও দামোদর শেঠ এর সাথে আমার সেরকম বিশেষ তফাৎ নেই | অর্ডার দিয়ে আমার জন্মদিনের জন্য বিশেষ সুন্দরবনের কাঁকড়া আনানো হয়েছিল | বেজিং, সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে সুন্দরবনের কাঁকড়ার চাহিদা প্রচুর। তাইল্যান্ড, ব্যাঙ্কক, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর-সহ আশপাশের দেশেও পৌঁছে যায় সুন্দরবনের কাঁকড়া।কাঁকড়া কিভাবে ধরে জানেন? একটা মুখ খোলা পাত্রে এদের ধরে ধরে রাখা হয়। ঢাকনা বন্ধ করার দরকার নেই। কারন, একটা বের হবার চেষ্টা করলে বাকি গুলো তাকে টেনে নামায়। বাস্তবে কি আমি একরম মানুষ দেখিনা? একটা কৌতুকে পড়েছিলাম, কে যেন জাহান্নাম পরিদর্শনে বের হয়েছিল। সে দেখলো, একটা বিশাল জায়গায় অনেক মানুষকে আগুনে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কোন পাহারাদার নেই | পরিদর্শক খুব অবাক হলো, তখন সাথের ফেরেস্তারা বলল, এটা বাঙালীদের জন্য। কোন পাহারার দরকার নেই, একজন পালাতে চাইলে বাকিরা ধরে রাখে!!! আরে কথায় বলে না, বাঙালীরা হল গে কাঁকড়ার জাত | তবে খাঁটি ভোজনরসিকদের কিন্তু কোনো জাত পাত হয় না!

কীভাবে বানাবেন-কাঁকড়া ভাল করে ছাড়িয়ে নিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নুন হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে কাঁকড়া লাল করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার ওই তেলেই রসুন বাটা, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভাল করে ভেজে নিয়ে তেঁতুল পেস্ট, জিরে বাটা, ধনে বাটা ও লঙ্কা বাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। যখন তেল ছেড়ে আসতে থাকবে কথন ভাজা কাঁকড়া দিয়ে ২ কাপ জল দিয়ে, নুন দিয়ে আঁচ কমিয়ে ৩০ মিনিট রান্না করুন। নামানোর আগে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে জমে যাবেই |


43 views0 comments

Comments


bottom of page