top of page
sreyasirrannaghor

ঠাকুরবাড়ির কষা মাংস


আমসত্ত্ব দুধে ফেলি/ তাহাতে কদলী দলি/ সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে / হাপুস হুপুস শব্দ, চারিদিক নিস্তব্ধ/ পিঁপড়া কাঁদিয়া যায় পাতে

রবীন্দ্র অনুরাগীরা জানবেন, তিনি কতটা খাদ্যরসিক ছিলেন। আর কবিপত্নী মৃণালিনী দেবীও ছিলেন রান্নায় দক্ষ। তাই রসনা তৃপ্তিতে কখনও ঘাটতি হয়নি কবিগুরুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেও ভালোবাসতেন। আর সেই খাবারের পদ অধিকাংশ সময়ই তিনি ঠিক করে দিতেন। তাতেও থাকত বিশেষত্ব।শুধু তাই নয় সকলকে খাওয়াতেও ভালোবাসতেন। তাঁর বাড়িতে এসে শুকনো মুখে কেউ কোনওদিন ফিরে যাননি। ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা বিদ্যাচর্চার নজির যেমন দেখিয়েছিলেন, তেমনি ঝুনি রাইয়ের ঝাল কাসুন্দি, আমসত্ত্ব, নারকেল চিঁড়ে তৈরি করতেন দিব্যি। কাদম্বরীদেবীরও রান্না বিষয়ে যথেষ্ট মুনশিয়ানা ছিল।

রুপোর রেকাবিতে খোসা ছাড়ানো ফল, নিজের হাতে তৈরি মিষ্টি সাজানো হত গোলাপের পাপড়ি দিয়ে। গেলাসে থাকত ডাবের জল বা ফলের রস বা কচি তালশাঁস বরফে ঠান্ডা করা, সমস্তটার উপর একটা ফুলকাটা রেশমের রুমাল ঢেকে মোরাদাবাদি খুঞ্চেতে করে পাঠিয়ে দিতেন কাছারিতে।

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচারণ থেকেও জানা যায় কাদম্বরীর রান্নার প্রতি রবীন্দ্রনাথের আকর্ষণের কথা। স্কুল ছুটি হলে ছোট্ট রবি ছুটে আসত বৌদির হাতের রান্না খেতে। যেদিন চিংড়ি মাছের চচ্চড়ির সঙ্গে লঙ্কা দিয়ে ভাত মেখে বৌদি খেতে দিতেন, সেদিন তাঁর আনন্দ দেখে কে? তেমনি মুরগির রসল্লা ছিল রবি ঠাকুরের প্রিয় পদগুলির মধ্যে অন্যতম|

12 views0 comments

Comentarios


bottom of page