ভর্তা মানে দলাইমলাই। চিপে চিড়েচ্যাপ্টা করে ফেলা। ভর্তার সঙ্গে বাঙালি জাতির সুদূর ঐতিহ্যগত সম্পর্ক। ঠিক কবে থেকে বাঙালি জাতি ভর্তা খেতে শুরু করেছে তার কোনো নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস রচিত হয়েছে কি না জানি না। তবে ধারণা করা যায়, হাজার বছর ধরেই বাঙালি ভর্তা খেয়ে আসছে। আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা | শুনলে আশ্চর্য হবেন, এখন মাংস ভর্তাও খাওয়া হয়।এমন কিছু নেই যা বাঙালি ভর্তা বানায়নি। মিষ্টিকুমড়ার ছিলকা, পটলের চামড়া, এমনকি লাউয়ের পাতা, পর্যন্ত ভর্তা বানিয়ে ফেলেছে। মাছের ভর্তা, শুঁটকির ভর্তা তো বিখ্যাতই। এখন চালু হয়েছে সবজি, পাতা-লতা, ফলমূলের ভর্তা। পটল, বেগুন, ঢেঁড়স, বরবটি, শিম, কচু কি নেই | আমাদের বাগানে এবছর প্রচুর বরবটি ফলেছে | ঘরের টাটকা সবজির আলাদাই স্বাদ | আর বরবটির খাদ্যগুন ও প্রচুর | তাই আমাদের রান্নাঘরের বিশেষ পরিবেশন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ -
উপকরণ:
বরবটি ৬০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, রসুন বাটা ১/২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ১০টি (ঝাল বেশি খেতে চাইলে), হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, লবণ এক চা চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি( দুই টেবিল চামচ।)
প্রণালি
বরবটি ধুয়ে কাঁচা মরিচসহ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। একটি প্যানে সর্ষের তেল গরম করে নিতে হবে। গরম তেলে রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লবণ ও ব্লেন্ড করা বরবটি জল না শুকানো পর্যন্ত নাড়তে হবে। ঠান্ডা হলে পেঁয়াজ কুচি, সরিষার তেল ও ধনে পাতা দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করতে হবে। কেউ চাইলে কুচো চিংড়ি আর নারকেল কোরাও দিতে পারেন | পাতে সবুজ দেখলে যাদের নাক কুঁচকে যায় তাদের জিভেও জল এনে দেবে এই বরবটির ভর্তা ❤👩🏻🍳
Comments